অনলাইন নিউজ ডেস্ক।
মাছ ধরতে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলেন কুয়াকাটার সাত জেলে। সেখানে পড়েন ঘূর্ণিঝড়ে মিধিলির কবলে। ডুবে যায় ট্রলার। তারপরও প্রাণপণ সংগ্রাম করে সাগরে টিকে থাকেন। অবশেষে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ওই সাত জেলেকে নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলিপুর বন্দরে আসে মাছ ধরার আরেকটি বড় ট্রলার। এই ট্রলারের জেলেরাই সাগরে তাদের উদ্ধার করেন।
সাতজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরা হলেন- উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন তানমুন, তামিম, হৃদয়, আব্দুর রহমান, আবু সালেহ, রাজিব ও ছালাম মৃধা। তাদের সবার বাড়ি কলাপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমভি রহমাতুল্লাহ ট্রলারে গত ১৫ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে বের হন ওই সাত জেলে। এর দুইদিন পর ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আঘাত হানে। ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় এমভি রহমত উল্লাহ।
ট্রলার মালিক রহমাতুল্লাহ বলেন, ট্রলারডুবির পর চার রাত চার দিন ডুবে যাওয়া ট্রলারের বাঁশ ও কনটেইনার ধরে সাগরে ভাসতে থাকেন সাতজন।
‘এদিকে ঝড় কেটে যাওয়ার পর আবার জেলেরা মাছ শিকারে সাগরে নামে। ভোলার একটি বড় ট্রলার সাত জেলেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় দেখে। তাদের অবস্থা ছিলো মুমূর্ষু। বড় ট্রলারের জেলেরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে আশ্রয় দেন।’
এরপর ওই ট্রলার তাদের নিয়ে শুক্রবার তাদের কলাপাড়ায় ভেড়ে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানা এবং ট্রলার ফিরে না আসায় ট্রলার মালিক রহমাতুল্লাহ গত ১৯ নভেম্বর মহিপুর থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাত জেলে উদ্ধারের খবর পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে যান।
এ সময় লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিয়ে জেলেদের সাগরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ট্রলারে যদি লাইফ জ্যাকেট থাকতো, তাহলে সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতে জেলেদের প্রাণ হানির ঘটনা কমে আসত।
Leave a Reply